আমরা তিন ভাই বড়
হয়েছি টালি-নালার গায়ে লাগানো এক উদ্বাস্তু কলোনীতে। তাই যখন জানতে পারলাম যে
স্বনামধন্য লেখিকা ঝুম্পা লাহিড়ি সেই টালিগঞ্জ পাড়ার পটভূমিকায় দুই ভাইয়ের গল্প
নিয়ে একটি উপন্যাস লিখেছেন, তখন তা না পড়ে থাকতে পারলাম না।
উপন্যাসটি শুরু
দুই ভাইকে কেন্দ্র করে—সুভাষ ও উদয়ন। স্বাধীনতা পরবর্তী কলকাতায় নিম্ন মধ্যবিত্ত
পরিবারে তারা বড় হয়েছে, একে অপরের প্রতি প্রবল ভালবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আবহাওয়ায়। কিন্তু চরিত্রগত দিক
থেকে তাদের মধ্যেকার পার্থক্য অনেক ছোটবেলা থেকেই প্রকট হতে থাকে। সুভাষ ধীর স্থির। কিন্তু উদয়ন
দামাল এবং নিজের ইচ্ছে কে জোর করে প্রতিষ্ঠা করাই তার স্বভাব। তৎকালীন সময়ের রাজনীতির আঁচ এসে পড়ে তাদের ছোট বাড়িটিতে। একদিকে কিউবা’র
বিপ্লব, ফ্রান্সের ছাত্র বিদ্রোহ এবং সর্বপরি ভিয়েতনাম। আর ঘরের কাছে বাড়তে থাকা
বামপন্থী আন্দোলন ও নকশালবাড়ির অভ্যুত্থান। এই সমস্ত ঘটনাগুলি উদয়নকে প্রবল নাড়া দেয়। সুভাষকে এই রাজনৈতিক ডামাডোল
খুব বেশি প্রভাবিত করে না। সে উচ্চশিক্ষা লাভ
করতে চলে যায় মার্কিন দেশে। কিন্তু উদয়ন জড়িয়ে পড়ে নকশাল আন্দোলনে। হয়ে ওঠে তাঁদের
একজন সৈনিক।
উদয়ন নকশাল
আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ার পরে গৌরী নামে এক কলেজ ছাত্রীর প্রেমে পড়ে এবং শীঘ্রই তাদের বিয়ে হয়ে যায়।
কিন্তু সেই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। একদিন সন্ধ্যেবেলা পুলিশ আসে। উদয়ন লুকিয়ে
থাকলেও সে ধরা পড়ে। তার বাবা-মা-স্ত্রীর সামনে তাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে।
এটিই আলোচ্য উপন্যাসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যাকে কেন্দ্র করে বাকি উপন্যাসটি
আবর্তিত হয়।
উদয়নের মৃত্যু
তার পরিবারকে তছনছ করে দেয়। একদিকে তার প্রৌঢ় বাবা-মা শোকে পাথর হয়ে যান।
অন্যদিকে গৌরীর প্রতি তাঁরা সম্পূর্ণ উদাসীন হয়ে পড়েন। সুভাষ ভাইয়ের মৃত্যুর খবর
পেয়ে দেশে ফিরে জানতে পারে
যে গৌরী সন্তান-সম্ভবা। তার বাবা-মায়ের গৌরীর প্রতি ব্যবহার সুভাষকে ব্যথিত করে
এবং সে গৌরীকে বিয়ে করে নিয়ে যায় আমেরিকাতে। কিন্তু গৌরীর মন সে পায়না। ক্রমাগত
গৌরী তার নিজের দুনিয়ায় হারিয়ে যেতে থাকে। সংসার সম্পর্কে সে সম্পূর্ণ উদাসীন। এবং
যখন উদয়নের মেয়ে বেলা’র জন্ম হয় তখনও দেখা যায় যে গৌরী তার সম্পর্কেও উদাসীন। শেষ
অবধি সে সুভাষ ও বেলা কে পরিত্যাগ করে দূরের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী নিয়ে চলে যায়।
এরপরে এই তিনজনের জীবন একই রকম একাকীত্বের মধ্যেই অতিবাহিত হয়।
উপন্যাসটির
শুরুতে ১৯৬০-৭০ দশকের কলকাতা ও তার রাজনীতির কথা খুব সুন্দরভাবে এসেছে। মনে হয়েছিল
নকশাল আন্দোলনের ব্যর্থতা বা সাফল্য, তার রাজনীতি, তার আদর্শ ইত্যাদি নিয়ে লেখিকা
আলোচনা করবেন। কিন্তু উপন্যাসটি সেই পথে এগলো না। রাজনীতি, বিশেষ করে বাম রাজনীতি
(তা যেই ধারারই হোক না কেন) তার মধ্যে সমষ্টির একটি প্রবল স্থান আছে। সমষ্টির
স্বার্থই বাম রাজনীতির মূল কথা। শ্রেণিগত বৈষম্য,
সামাজিক অবক্ষয় ইত্যাদির বিরুদ্ধেই বামপন্থীদের প্রতিবাদ, আন্দোলন। উদয়ন এই
সমষ্টির সাথে নিজেকে মিলিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। তার পথ ভুল ছিল তা
ইতিহাস প্রমাণ করেছে। কিন্তু তার মধ্যে সমষ্টির প্রতি প্রবল দায়বদ্ধতা ছিল। কিন্তু
লেখিকা উদয়নের বাইরে গিয়ে কখনও সেই সমষ্টিকে ধরার চেষ্টা করেননি। যতটা দেখা গেছে
তা উদয়নের তারুণ্যের রোমান্টিকতার চোখ দিয়ে, লেখিকার চোখ দিয়ে নয়।
তাই উদয়নের
মৃত্যুর সাথে সাথে উপন্যাস থেকে বিদায় নেয় রাজনীতি ও সমষ্টি। মুখ্য চরিত্ররা চলে যায় আমেরিকাতে। সেখানেও তারা কোন সমষ্টির
অংশ নয়। তাদের সমষ্টিগত কোন দায়বদ্ধতা বা চিন্তা ভাবনা দেখা যায়না। তারা ব্যস্ত
তাদের ব্যক্তি সত্ত্বার সংকটগুলি কে সমাধান করতে। শুধু তাই নয়। উদয়নের মৃত্যুর পরে গৌরীর নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, তার দুঃখ, তার বেদনা
সবই লেখিকা খুব স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। অনেক সময়ে পাঠকের মনে উদয়নের থেকেও হয়ত বেশি মাত্রায়
গৌরীর প্রতি সহানুভূতি জেগে ওঠে। লেখিকা যেন পাঠক কে ভাবতে বাধ্য করেন যে উদয়ন এই সব রাজনীতি
না করলে গৌরীর জীবনে এত দুঃখ নেমে আসত না। উদয়নের মৃত্যুর জন্য লেখিকা যেন
রাষ্ট্রের হত্যার বাইরে গিয়ে উদয়নের রাজনীতিকেই দোষারোপ করছেন।
উদয়ন ও সুভাষ দুই
ভাই হলেও তাদের চারিত্রিক ফারাক ছিল। উদয়ন রাজনীতিতে উৎসাহী, একজন সক্রিয় কর্মী।
সুভাষ তার পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। দেশ ছেড়ে সে চলে এসেছে আমেরিকাতে। শুধু তাই নয়। সুভাষকে যেন লেখিকা গড়ে তুলেছেন মহত্ত্বের দৃষ্টান্ত রূপে। তার প্রয়াত ভাইয়ের স্ত্রী কে সে বিয়ে করে, তার কন্যা কে সে নিজের কন্যার মত মানুষ করে, গৌরী
সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও সে গৌরীকে দোষারোপ করে না, গৌরীর কথা মেনে সে গৌরীর
সাথে কোন সম্পর্ক রাখে না, মেয়ের প্রতি তার ভালবাসা সে উজাড় করে দেয়। সুভাষের
মধ্যে লেখিকা যেন একজন আদর্শ পুরুষের মূর্তি তৈরী করেছেন। কিন্তু সুভাষ
সম্পূর্ণভাবে একজন অরাজনৈতিক মানুষ। তার ভাইয়ের মৃত্যু তাকে দুঃখী করে, শোক করে
সে। কিন্তু তৎকালীন কলকাতার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সে কোন রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ
করে না। এমনকী ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশদের শাস্তির জন্য বা আরো অনেক উদয়নের
জন্য সে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে না। সে তার দায়িত্ব পালন করে ঘরের সীমা রেখার
মধ্যে। পারিবারিক গন্ডির মধ্যে
সুভাষের এই আদর্শ
পুরুষের রূপের সাথে উদয়নের চারিত্রিক বৈশিষ্ট, তার বেহিসেবি জীবনযাপন ইত্যাদি লেখিকা
পাঠকের সামনে প্রকট করে তুলেছেন। উদয়ন চলতি ভাষায় ‘ঘরের
খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়েছে’। সে তার স্ত্রী, কন্যা, বাবা-মা, ভাই কারোর প্রতিই সঠিক
দায়িত্ব পালন করেনি। বাইরের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে তার অপমৃত্যু হয়েছে। যার ফল ভোগ করতে
হচ্ছে তার স্ত্রী ও বাবা-মাকে। আবার যেন লেখিকা আমাদের উদয়নের রাজনীতি শুধু নয়,
সমগ্র সমষ্টিগত রাজনীতির নিষ্ফলতা, শূন্যতা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন।
সমাজ বদলের
রাজনীতি যুব সমাজ সব সময় করেছে এবং এখনও করছে। কিন্তু এই রাজনীতির ঝুঁকি আছে।
রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, কায়েমি স্বার্থের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে ব্যক্তিগত জীবনে
আত্মত্যাগ করতে হবে, হয়ত কিছু প্রাণও দিতে হবে। কারণ রাষ্ট্র বা সমাজব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সামনে বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ
করবে না। এই রাজনৈতিক যুদ্ধে
শহীদ হলে একথা
অনঃস্বীকার্য যে তার পরিবারের উপর নেমে আসবে শোক, অবসাদ ও অন্যান্য সমস্যা। কিন্তু
সেই সব সমস্যার ভয়ে দিন বদলের রাজনীতি করা যাবে না, এই কথা যদি সবাই ভেবে বসে তবে
ইতিহাস স্তব্ধ হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশের গরীব মানুষ রোজ ভ্রাতৃবিয়োগ,
পুত্রবিয়োগ বা স্বামীবিয়োগের যন্ত্রণাভোগ করছেন। দেশের অধিকাংশ শিশু অপুষ্টির
শিকার, অধিকাংশ মহিলা রক্তাল্পতায় ভোগেন। তাই অনেক মায়ের কোল অকালেই খালি হয়ে যায়
অহরহ। দেশে আড়াই লক্ষ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তাদেরও পরিবার পরিজন ছিল। তাঁদের প্রিয়জন হারানোর
দুঃখ গৌরী, সুভাষ বা বেলার থেকে কিছু অংশে কম নয়। কিন্তু সেই স্বজন হারানো গরীব
মানুষগুলি এই উপন্যাসের বিষয় হয়ে ওঠেননি—নকশাল আন্দোলনে শহীদের পরিবারের দুঃখ
একাকীত্ব হয়ে উঠেছে উপন্যাসের মূল বিষয়।
অনেকে বলতে পারেন
যে লেখিকা নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উপন্যাসটি লিখেছেন। এটি সার্বিকভাবে রাজনীতির সমস্যা
নিয়ে লেখা নয়। তাই উপন্যাসটিতে নকশাল আন্দোলনের সমালোচনা করা হয়েছে বলা যেতে পারে। এই
উপন্যাসের মূল সুরটি সার্বিক রাজনীতির বিরুদ্ধে নয়। এই যুক্তিটি দুটি কারণে ভুল। প্রথমত, আগেই বলা হয়েছে যে নকশাল আন্দোলন নিয়ে কোন গভীর আলোচনা
লেখিকা করেননি। আন্দোলনটি নকশাল
আন্দোলন না হয়ে অন্য যে কোন আন্দোলন হলেও উপন্যাসের মূল বিষয়ে কোন ফারাক হত বলে
মনে হয়না। শুধু দরকার ছিল একজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু এবং তার দরুন তাঁর
পরিবারের গভীর শোক ও এককীত্ব। দ্বিতীয়ত, নকশাল আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতার বুকে প্রথম এবং
শেষ আন্দোলন ছিল না। তার পরেও এ রাজ্যে জমির প্রশ্নে, শিক্ষার প্রশ্নে, গণতন্ত্রের
প্রশ্নে আমরা সুবৃহৎ বাম গণতান্ত্রিক আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু উপন্যাসে সে
সবের খুব বেশি উল্লেখ নেই কারণ পাত্র-পাত্রীরা সব আমেরিকাতে চলে গেছেন উদয়নের
মৃত্যুর পরে। তাই এই আন্দোলনগুলির সাথে নকশাল আন্দোলনের সফলতা, ব্যর্থতা ইত্যাদি নিয়ে কোন
তুলনামূলক মূল্যায়ন করার চেষ্টা উপন্যাসে দেখা যায়নি। নকশাল আন্দোলনের ব্যর্থতার
পরে যে নৈরাশ্য যুব সমাজের একাংশের মধ্যে জেগেছিল, সেই নৈরাশ্যের অন্ধকার ভেদ করে লেখিকা
কোন আশার আলোর কথা বলেননি। লেখিকা যেন একটি dystopia তৈরী করছেন যার জন্ম রাজনৈতিক আন্দোলনেরই আঁতুড় ঘরে।
সব মিলিয়ে তাই
বলা যেতে পারে যে সক্রিয় বাম রাজনীতি যে utopia কে বাস্তবায়িত করার
কথা বলে উপন্যাসটি সেই ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করে এক dystopia’র কল্পনা করছে। সমষ্টির স্বার্থে ব্যক্তি মানুষের ক্ষতি হলে তার দায়ভার এসে পড়ে তার
পরিবারের উপর। সেই পরিবারটির সমস্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন ধ্বংস হয়ে যায়। মুক্তির সন্ধানে
নিমগ্ন উদয়নের রাজনীতি তাঁর পরিবারের জন্য জন্ম দেয় এক বিভিষীকার।
আসলে dystopia’র এই ভাবনা মনে হয় বর্তমান পৃথিবীর সমস্যা, তার
রাজনীতির এক বিমূর্ত অভিব্যক্তি। আজ পৃথিবী এক গভীর অর্থনৈতিক সংকটে নিমগ্ন। সারা পৃথিবী
জুড়ে গত কয়েক বছরে উথালপাথাল করা রাজনৈতিক আন্দোলন ঘটে গেছে—অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট,
আরব বসন্ত ইত্যাদি। কিন্তু এই আন্দোলনগুলি শুরুতে মানুষের মনে প্রত্যাশার জন্ম দিলেও, অকালে শুকিয়ে গেছে, কোন প্রকৃত বিকল্প
সমাজব্যবস্থার ভিত নির্মাণ না করে। এই আন্দোলনগুলি মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলিকে রাজনীতির মূল
প্রশ্নে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু তবু যেই
ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থাগুলি ২০০৮’র সংকটের জন্য দায়ী, তারা আবার ফুলে ফেঁপে উঠেছে
ও অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ করছে; মিশরে মুবারকের মত একনায়ক কে গদিচ্যুত করা হল, কিন্তু
আবার সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। ফলত, এই আন্দোলনগুলি অনেকাংশেই তার
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। নকশাল আন্দোলন এমন এক সময়ে সংগঠিত হয়েছিল যখন
সারা পৃথিবীতে সমাজতন্ত্রের মর্যাদা ছিল অপরিসীম। আজ সমাজতন্ত্র পিছু হটেছে। নতুন
দুনিয়া নতুন রাজনৈতিক আন্দোলনের সন্ধান করছে। কিন্তু বর্তমান সময়ের আন্দোলনগুলির
ব্যর্থতা অনেকের মনেই নিরাশার জন্ম দিয়েছে। সেই নিরাশার জন্মদাগ বহন করছে উপন্যাসটি। আজকের সময়ের এই নিরাশা তাই যেন প্রতিফলিত হয়েছে উপন্যাসে নকশাল আন্দোলনের
নিরাশার মাধ্যমে।
রাজনৈতিক নিরাশা
মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের বিলাস হতে পারে। কিন্তু গরিব খেটে খাওয়া মানুষের কাছে
রাজনীতি ব্যতিরেকে তাঁর জীবনের উন্নতি সম্ভব নয়। তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে নিরাশায় ডুবে যেতে পারেন না। তাঁরা তাই সন্ধান করে
চলেছেন নতুন রাজনীতির, সাবেকি সমাজতন্ত্রের পতনের পরে নতুন পরিস্থিতিতে মানানসই
রাজনৈতিক তত্ত্বের তালাশ। সেই তালাশ কোন ব্যক্তির তালাশ নয়। সমষ্টিগত আন্দোলনের
মাধ্যমেই সেই জায়গায় পৌঁছতে হবে। এই আশায় ভর করে নতুন রাজনীতি, নতুন বিশ্ব নিয়ে
রচিত হবে উপন্যাস। তবে তা আমেরিকায় বসে ঝুম্পা লাহিড়ি হয়ত লিখবেন না। লিখবেন সেই
আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসা নতুন লেখিকা।